অমিতাভ ভট্টশালীঃ দেশের নাম বাংলাদেশ আর রাজধানীর নাম নাকি ঢাকা – এটা বাংলাদেশের কোনো ছাত্রছাত্রীর দেওয়া উত্তর না।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলায় প্রাথমিক স্কুলের কিছু ছাত্রছাত্রী এই উত্তর দিয়েছে।
জেলাজুড়ে প্রাথমিক স্কুলগুলোতে পড়াশোনার মান, বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞানের মান কীরকম, তা যাচাই করতে পরিদর্শন শুরু হয়েছে।
“সেই পরিদর্শনের সময়েই প্রাথমিক স্কুলের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী এইসব ভুল উত্তর দিয়েছে। তবে খুব বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরও আমরা পেয়েছি,” বলেছেন বর্ধমান জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদের প্রধান অচিন্ত্য চক্রবর্তী।
এই পরিদর্শনের সময়ে হাজির ছিলেন বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন নিজেও।
তাকেও শুনতে হয়েছে এইসব উত্তর। ভারতীয় ছেলেরা কেনো তাদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম বললো সেটাও তাদের কাছে বিস্ময়।
হঠাৎ করে কেন এই পরিদর্শন?
চক্রবর্তী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, স্কুলের পড়াশোনার মান কেমন সেটা মাঠে নেমে যাচাই করার জন্যই এই উদ্যোগ।
এছাড়াও রাজ্য সরকার সব প্রাথমিক স্কুলে পোশাক, জুতো এসব দিচ্ছে, তাই ছেলেমেয়েদের স্মার্ট করে তুলতে হবে। সেজন্য সাধারণ জ্ঞানের মানও বাড়ানো দরকার বলেই মনে হয়েছে জেলা প্রশাসনের।
একই সঙ্গে শিক্ষকদের পড়ানো নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করেন অচিন্ত্য চক্রবর্তী।
বর্ধমান জেলাকে যাতে শিক্ষায় আরও উন্নত করা যায়, তার জন্য একদিকে যেমন পরিদর্শন আর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে, তেমনই সেই সব পরিদর্শন রিপোর্টগুলি নিয়ে প্রতিমাসে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হচ্ছে।
রিপোর্ট যাচ্ছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও।
ভারতে স্কুল কলেজে পড়াশোনার মান নিয়ে সম্প্রতি বড়সড় বিতর্ক চলছে।
বিহার রাজ্যে দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় প্রথম হওয়া এক ছাত্রী তার নিজের বিষয়গুলির নামও ঠিকমতো বলতে পারেন নি।
আর সেই ঘটনা থেকেই বেরিয়ে এসেছে এক রাজ্যব্যাপী বিরাট শিক্ষা কেলেঙ্কারি।
বিপুল অর্থের বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীদের ভাল র্যাঙ্ক করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রথম স্থান অধিকার করা ওই ছাত্রী, বিহার পরীক্ষা বোর্ডের প্রধান আর রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি কলেজের প্রিন্সিপাল – যিনি নিজেই দ্বাদশ শ্রেণীতে পাশ করতে পারেন নি।